শ্রীমঙ্গলে নাগা মরিচে পোকার আক্রমণ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত নাগা মরিচে পোকার আক্রমণে উদ্বিগ্ন চাষিরা।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2021, 12:16 PM
Updated : 18 April 2021, 01:58 PM

কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানায়, এই উপজেলায় প্রায় তিনশ একর জমিতে নাগা মরিচ চাষ হয়। এই মরিচ বিদেশে রপ্তানিও হয়। এবছর উৎপাদন ভালো হলেও পোকার আক্রমণসহ গোড়াপচন ও পাতামোড়া রোগে ধরেছে অনেক জায়গায়।

শ্রীমঙ্গলের রাধানগরের নাগা মিরিচ চাষি কাজী সামছুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ১০ হাজার নাগা মরিচের গাছ রয়েছে। তিনি কীটনাশক ছাড়াই এই মরিচ উৎপাদন করে আসছিলেন।

“কিন্তু হঠাৎ বেশকিছু গাছে বিভিন্ন জাতের পোকা মরিচ খাওয়া শুরু করেছে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে স্প্রে করেও কোনো ফল হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”  

শ্রীমঙ্গলের ভুনবীর নুতন বাগান এলাকার লেবু ও নাগা মরিচ চাষি বিধান চক্রবর্তী বলেন, তার বাগানে নাগা মরিচে গোড়াপচন এবং পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে।

তিনি জানান, এর আগে শিলা বৃষ্টিতে তার লেবু বাগানের সব ফুল ঝরে পড়েছে। এতেও তিনি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত।

এই ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন মোনালিসা সুইটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় তিনশ একর জমিতে নাগা মরিচের চাষ হয়।

“শ্রীমঙ্গলের নাগামরিচ খুবই আকর্ষণীয়, এটি লাল টকটকে হয় এবং এর ঝাল তীব্র। তবে চলমান মৌসুমে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বিশেষ করে দিনের প্রথমভাগে উচ্চ তাপমাত্রা ও সন্ধ্যার পর নিম্ন তাপমাত্রার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে।”

দুয়েক জায়গা থেকে গোড়াপচা রোগ, পাতামোড়া রোগ ও বিছা পোকার আক্রমণের সংবাদ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে বিছা পোকার আক্রমণ রোধে সুমি আলফা ও বজ্র কীটনাশক খুবই উপকারী জানিয়ে তিনি বলেন, এক লিটার পানিতে এক মিলিলিটার সুমি আলফা সাত দিন অন্তর দুইবার দিতে হবে। আর পাতামোড়া রোগের জন্য কুমুলাস ও ইনসাফ খুবই উপকারী। এক লিটার পানিতে এক গ্রাম কুমুলাস চার দিন অন্তর দুইবার স্প্রে করতে হয়।