হাসপাতালের নিচতলায় রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কক্ষে বৃস্পতিবার সকালে এই ভাঙনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আক্তার হোসেন বলেন, “সকালে কক্ষের তালা খুলে দেখি ছাদের পলেস্তারাসহ একটি বড় অংশ খসে পড়ে আছে। এক্স-রে মেশিনের ওপর একটি বড় অংশ পড়ে আছে। বিকল্প না থাকায় এখনও এ কক্ষটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে।”
গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষেও এভাবে একটি অংশ ভেঙে পড়ে। ওই কক্ষটির সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার করতে পারছেন না তত্ত্বাবধায়ক।
রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, কক্ষটির অধিকাংশ পলেস্তারাসহ খোয়া-সিমেন্ট ভেঙে পড়েছে। কিছু অংশ ঝুলে আছে। সেখানেই রোগীদের সেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমদ খান বলেন, ১৯৮৫ সালে হাসতালের একটি অংশ একতলা ও একটি অংশ দোতালা করা হয়। ২০০৮ সালে অতিরিক্ত ১৬টি পিলার বসিয়ে হাসপাতালটি তৃতীয় তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। গত পাঁচ বছরে পাঁচ দফা বিভিন্ন ফ্লোরে এমন করে ভেঙে পড়েছে। ২০১৮ সালে হাসপাতালটির নিচতলায় করিডোরে ছাদের পলেস্তারা খসে তিনজন আহত হন।
“গত বছর আমার কক্ষেও ভেঙেছিল। তখন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা ভবনটি পরীক্ষা করেছেন। এখন ভবনের নিচতলা সংস্কার না করে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।”
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক, আরএমওর কক্ষ, এক্সে-রে কক্ষ, ল্যাবরেটরি ছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ করার কক্ষ রয়েছে। ছয়টি কক্ষ এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ।
“বৃহস্পতিবার পুনরায় ছাদের অংশ খসে পড়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।”
সবাই যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ।