মিথ্যা তথ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে সহায়তায় অভিযোগে 'শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরে আরেকটি মামলা হয়েছে।
Published : 11 Apr 2021, 05:20 PM
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, রোববার সকালে টেকনাগপাড়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাসন থানায় ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়েছিল, যে মামলায় তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে আটক আছেন।
আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানী (২৭) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ‘মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায়’ বসে দেশদ্রোহী ও নাশকতার কার্যকলাপ চালান এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার এজাহারে আরও অভিযোগ, কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের অন্যতম রফিকুল ইসলাম মাদানি ওরফে ‘শিশু বক্তা’।
রফিকুল তার বক্ত্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পিছনে অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, মাদানী গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমানজনক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন।
বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রোববার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলটি দায়ের করেন গাজীপুরের টেকনাগপাড়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
গত বুধবার (৭ এপ্রিল) ভোরে রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে প্রথমে জেলা কারাগারে ও পরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল থানায়ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।