শনিবার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সেদিনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ
নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রয়্যাল রির্সোট পরিদর্শন করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের উপর যে দায়িত্ব রয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। হেফাজত ইসলামের সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
“সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে। এতে কেউ ব্যর্থ হলে সে জায়গায় আর তাকে দায়িত্বে রাখা হবে না “
গত ৩ এপ্রিল রয়েল রিসোর্টের এক রুমে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার অনুসারীরা ওই রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িসহ শতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে।
পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ৪ শতাধিক শর্টগান ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ মতবিনিময় সভায় সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জনপ্রতিনিধি
ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।