শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাগরের জোয়ারের পানিতে মৃত অবস্থায় তিমিটিকে ভাসতে দেখে বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে খবর দেন স্থানীয়রা।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে জোয়ারের পানির সঙ্গে মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছিল বড় আকারের আরেকটি তিমি। রাতে প্রশাসনের লোকজন সৈকতে বালি চাপা দিয়ে তিমিটির মরদেহ পুঁতে ফেলে।
পরিবেশবাদী সংগঠন সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “এক সপ্তাহ আগে তিমিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাগরে ফেলা কোন রাসায়নিক বর্জ্য খাওয়ার পরে এ তিমির মৃত্যু হতে পারে। তাই মৃত তিমিটিও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।”
মেরিন ড্রাইভ সড়কে হিমছড়ি এলাকায় দেখা যায়, সৈকতে বালুর মধ্যে বিশাল মৃত তিমিটি পড়ে আছে। তিমিটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখের অংশ একাবারেই গলে গেছ।
তিমি ভেসে আসার খবরে বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য বিভাগ ও সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছান। তিমিটি দেখার জন্য উৎসুক লোকজনের ভিড় জমেছে।
মৃত তিমিটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট, চওড়া ১০ ফুট, পেটের অংশে চওড়া ৯ ফুটের কিছু বেশি ও লেজের অংশের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট বলে বাংলাদেশ সামুদ্রিক গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুলতান আল নাহিয়ান জানান।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, “বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর সম্বনয়ে এটি কি করা যায় এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করে এটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।”
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে পৃথক দুটি বিশাল তিমি এভাবে ভেসে এসেছিল। দীর্ঘদিন পর আবার বিশাল দুটি মৃত তিমি সৈকতে ভেসে এল।