জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে জানান, চলতি এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ এ জেলায় টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় এক ঘন্টার মতো গরম হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
“এতে হিট ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে আনুমানিক সাড়ে ৪০০’শ হেক্টর জমির বোরো ধানের প্রস্ফুটিত শীষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চিটা হয়ে গেছে।”
এদিকে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন বলে শেরপুর সদর উপজলার খুজিউরার কৃষক জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানালেন।
শেরপুর পৌরসভার শেখহাটি গ্রামের কৃষক আফিল উদ্দিন বলেন, “রোববার দিন রোয়া বিলে কালবৈশাখীর সঙ্গে গরম বাতাসে সব ধান পুইড়া গেছে; সব কৃষকের ক্ষতি অইছে। সাদা অইয়া ধান মরা হিজা। কৃষকের ৫ শতাংশ জমির ধান আবাদ করতে ১৫শ’ হইতে ২ হাজার টেকা কইরা খরচ। অহন কৃষক কি খাইয়া বাচবে। কৃষকেরা মাথায় হাত দিয়া কোন কুল কিনারা পাইতাছে না।”
একই গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, “ধানের ক্ষতি হওয়ায় আমরা অহন কি খাইয়া বাঁচবো সে কতাই চিন্তা করতাছি।”
কৃষক শরাফত আলী বলেন, “গরম বাতাছে অহন এবা ক্ষতি অইয়া গেছে। কৃষক অহন মাতা থাবরাইতাছে। আমি দেড় কুর মাডি লাগাইছি। এক কুর গরম বাতাসে নষ্ট অইয়া গেছে।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে বলেন, অন্যান্য জেলায় যে রকমভাবে ধান ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সে তুলনায় শেরপুর জেলায় তেমন বড় ক্ষতি হয়নি।ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।”
চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯০ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।