খুলনা মেডিকেলে ১২টি “হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা’ অকেজো

করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২টি `হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা’ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। 

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2021, 12:52 PM
Updated : 7 April 2021, 11:35 AM

সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অক্সিজেন পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।  

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর এক বছরেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কমিটির খুলনার সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান।

তিনি বলেন, “শুধু কয়েকটি দপ্তরের সমন্বয়হীনতা ও অবহেলার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এই প্লান্টটি স্থাপন হয়নি। এতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। আর দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।”

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করার ১২টি হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা মেশিনও অকেজো হয়ে পড়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিল্লুর রহমান বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তরল অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১টি হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দেওয়া হয়। এর বাইরে সরকারিভাবে আরও চারটি নেইজল ক্যানুলা হাসপাতালকে দেওয়া হয়।

“ছোটখাটো ত্রুটিতে এসব মেশিনের মধ্যে ১২টির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩-৪ হাজার টাকার অক্সিজেন সরবরাহ করার পাইপ না থাকার জন্যও কোনো কোনো হাই ফ্লো মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে।”

এতে মুমূর্ষু রোগীদের তরল অক্সিজেন সরবরাহে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, “২০২০-২১ অর্থবছরে সংগনিরোধক ব্যয় খাতে ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থ হাসপাতালের অনুকূলে সমন্বয় কোডে উল্লেখ না করায় ওই টাকা উত্তোলন করা যায়নি। বরাদ্দকৃত টাকা হাতে পেলে অকেজো মেশিনগুলো মেরামত করা হবে।”