শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে ‘ছিনিয়ে নেওয়ার পর’ তিনি ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৮টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাড়ি ভাংচুর করে সড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েও যায়।
ওই নারী মামুনুল হকের স্ত্রী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা দু’জন জানিয়েছেন তারা স্বামী-স্ত্রী।
এ বিষয়ে অতিরিক্তি ডিআইজি জেহাদুল কবীর বলেন, মামুনুল হক ঢাকারউদ্দেশ্যে চলে গেছেন।
হেফাজতের লোকজন মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্তি ডিআইজি বলেন, “তার লোকজন এসেছিল। তাদের সঙ্গে তিনি চলে গেছেন।”
ওই নারী এই হেফাজত নেতার স্ত্রী কি-না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এটা তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
অবরোধ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি জেহাদুল কবীর জানান, মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়ে বলে ‘গুজব ছড়িয়ে পড়ায়’ তার সমর্থকরা অবরোধ করেছিল। পরে বুঝতে পেরে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে চলে গেছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
“তিনি তার স্ত্রীসহ ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন।”
রয়্যাল রিসোর্টের ব্যবস্থাপক লাল মিয়া জানান, দুপুরের দিকে মামুনুল হক তাদের রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এরপর সেখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে ইউএনও, পুলিশসহ অনেকে এসেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মামুনুল হক রিসোর্টের ওই রুমেই আটকা ছিলেন।
এ খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে ভিড় জমায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সেখানে ভাঙচুরও করেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
মামুনুল হকের এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবরোধ ও আগুন দিয়েছে এবং যানবাহন ভাংচুর করেছে।
কতগুলো টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা হিসেব করে বলতে হবে।’
এ ঘটনার পর রাত ১টার দিকে ঢাকা-চট্ট্রগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন কোন মামলা করা হয়নি।