সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, ভাসমান বেডে আগে লতাবিহীন বিভিন্ন শাক ও সবজি উৎপাদন করা হত। তারপর লাউ, কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, করলার পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছিল মাসলাজাতীয় ফসল হলুদ ও আদা।
“এবার যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ। প্রথম পরীক্ষামূলক পেঁয়াজ চাষ সফল হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২২ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। পেঁয়াজের আকার বড়। ক্ষেতের পেঁয়াজের তুলনায় বেডে হেক্টরপ্রতি ছয় টন বেশি ফলন হয়েছে ভাসমান বেডে।”
নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, “তাহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি ১২টি বেডে। হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছে ২২ টন। ভাসমান বেডে পেঁয়াজ চাষ লাভজনক দেখে আমার প্রতিবেশীরাও আগামী বছর চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”
ওই গ্রামের কৃষক সালেম হোসেনসহ অনেকেই আগামী বছর ভাসমান বেডে পেঁয়াজ চাষ করবেন বলে জানান।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জিএম অলিউল ইসলাম বলেন, বর্ষা শেষে নভেম্বরে পানি নামতে শুরু করলে কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। এ পদ্ধতির চাষাবাদে বীজের পরিবর্তে চারা রোপণ করতে হয়। ৮০ থেকে ৮৫ দিনে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা যায়। এ পদ্ধতি সারাদেশের জলাবদ্ধ এলাকায় ছড়িয়ে দিতে পারলে আমাদানিনির্ভরতা কমবে।