জেলার ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি চরে মরিচ, মশুর, বুট, খেসারি কালাই, ভুট্টা, বেগুন, মিষ্টি আলু, তিল, তিশি, কালো জিরা, চিনা বাদামসহ নানা ফসলে যেন সবুজের বন্যা বইছে।
সরকারের ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’ ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক, আগাছানাশক, হরমোন ইত্যাদি বাদ দিয়ে ফসলচক্র, সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই হলো জৈব সবজি উৎপাদন। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং কোনো রাসায়নিক বস্তু চাষ কাজে ব্যবহার করা হয় না। এতে ফসল দূষিত হওয়ার শঙ্কা থাকে না এবং নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন অনেকটা নিশ্চিত হয়।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া এসব ফসল আবাদ হয় বলে স্বাস্থ্যসম্মত। তাই এসব জৈব ফসল চাষ ও খাবারের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল চরের মো. আজম বলেন, “বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। তবু একটি ফসল ঘরে উঠাতে পারলেই সারা বছরের খাবার হয়।”
তিনি বলেন, চরের লোকের এক ফসলেই সারা বছর চলে যায়। এখন চরে বাদাম, মশুর, খেসারি, মরিচ, মিষ্টি আলু, কালো জিরা, তিল, তিশি, ভুট্টার মৌসুম চলছে। ফলনও হয়েছে প্রচুর।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, সার, কীটনাশক ছাড়া স্বল্প খরচে কৃষকরা চরে অর্গানিক (জৈব) ফসল উৎপাদন করে। ফলনও হয় প্রচুর।
“শুধু তাই নয়, চরে ঘাস, খড় খাওয়া গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগও কম হয়।”
এখন চরেই শুধু অর্গানিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান তিনি।