ডিবি পরিচয়ে তারা মহাসড়কে ডাকাতি করত: পুলিশ

মহাসড়কে ডাকাতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ সদরে চার ব্যক্তি ধরা পড়েছে, যারা ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে ডাকাতি করত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2021, 10:17 AM
Updated : 1 April 2021, 10:17 AM

সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সদর উপজেলার হরিদাসপুর ব্রিজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন রবগুনার তালতলী উপজেলার বেতিপাড়া গ্রামের কাদের প্যাদার ছেলে একিন ওরফে সুসন প্যাদা (২৮), আগাপদ্মার দক্ষিণ ডিকেপি রোডের ওয়াজেদ খানের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৪৫), ঠংপাড়া গ্রামের দেনছের আলী হাওলাদারের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮) ও  শিয়ালিয়া গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলাম সিকদারের ছেলে মো. সেলিম (৩৫)।

গোপালগঞ্জ শহরের একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. এনামুল হক মুনির বলেন, বুধবার তিনি নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মোটরসইকেলে গ্রামের বাড়ি পাথালিয়া যাচ্ছিলেন। রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে সোনাকুড় সংযোগ সড়কে পৌছালে একটি মাইক্রোবাস তার মোটরসাইকেলের সামনে দাঁড়ায়।

“ড়্রইভারসহ ৭/৮ জন গাড়ি থকে নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে মাইক্রোতে তোলে। তাদের মধ্যে একজন আমার মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে মারপিট করে আমার নগদ ৩০ হাজার ৭ ২০ টাকা, ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।”

তিনি বলেন, পরে তাকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তুতবাটি এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে জানান।

এসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তারা অভিযান শুরু করেন। সদর উপজেলার গোপিনাথপুরে পুলিশের অবরোধের মুখে ডাকাত দলের সদস্যরা মাইক্রোবাস ঘুড়িয়ে খুলনার দিকে রওনা হয়। এই সময় ডাকাত চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। 

“হরিদাসপুর ব্রিজের ওপর অবরোধ দিয়ে ডাকাত চক্রের চার জনকে আটক করা হয়।”

তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, দুইটি ধারলো চাকু, একটি হাতুড়ি, একটি টিপ গিয়ার চাকু, ডাকাতির মালামাল, ছয়টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নোয়াহ মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।

এই ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে মাইক্রোতে তুলে মারপিট করত। তারপর তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যেত বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে তারা এ কাজ করে বেড়াত বলেও পুলিশকে জানিয়েছে।