ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ স্বাধীনতার শত্রুদের: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবের সময় কয়েকটি বাম সংগঠনসহ হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞকে একাত্তরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2021, 01:11 PM
Updated : 31 March 2021, 01:12 PM

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকলা একাডেমী, গণগন্থাগার, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে।

“বিশ্বাস করা যায় না, এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চশ বছর পূর্তির উৎসবে সরকারের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দিতে আসেন। তার এ আগমনের বিরোধিতায় নামে কয়েকটি বাম সংগঠনসহ হেফাজতে ইসলাম। এর মধ্যে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ এ তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনারায় নির্মাণ করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধ্বংসের সাথে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

২৬ থেকে তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, আনন্দময়ী কালিমন্দিরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

এসব ঘটনায় এরই মধ্যে সরকারি উদ্যোগে আটটি মামলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার জনকে আসামি করা হলেও কারো নাম তাতে নেই। তবে এসব মামলায় ২১জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।