অভিযোগকারীর আইনজীবী হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, বুধবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান পিবিআইকে এই অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন।
হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, গত ৯ মার্চ বসুরহাটে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চর ফকিরা ইউনিয়নের চরকালি গ্রামের যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন।
গত ১১ মার্চ এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জা সহ ১৬৪ জনের নামে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
কিন্তু অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় আদালতে মামলার আবেদন করেন বাদী এমদাদ হোসেন রাজু।
আদালত এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা জানাতে থানার ওসিকে ১৫ দিন সময় দেয়।
আইনজীবী হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি উল্লেখ করে গত সোমবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
“ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানির পর আদালত বাদীর অভিযোগ পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেয়।”
থানা মামলা না নেওয়া এবং এখন আদালতের ফের তদন্তের আদেশ দেওয়ায় অভিযোগকারী হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দ্রুত শুরুর দাবি জানান।