সীমান্তবর্তী হরিণছড়া চা বাগানে মঙ্গলবার এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা।
আগে এখানে ১১৭টি পরিবারের পাঁচ শতাধিক মানুষকে পাহাড়ি ছড়া কিংবা কুয়ার পানি পান করতে হতো।
আইডিয়ার শ্রীমঙ্গল প্রকল্প ব্যবস্থাপক পংকজ ঘোষ দস্তিদার বলেন, প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করে দেড়মাস কাজ করে তারা এটি বাস্তবায়ন করেছেন।
“এই পানি শুধু খাবারের কাজে ব্যবহার করার জন্য। অনান্য কাজে তারা আগের মতোই কুয়া বা ছড়ার পানি ব্যবহার করবেন।”
তিনি জানান, একটি কূপের মাধ্যমে পানি তুলে ১৮টি ‘কালেকশন পয়েন্টে’ পরিবারগুলোর জন্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী বলেন, হরিণ ছড়ার এই এলাকায় অগভীর নলকূপের লেয়ার নেই। এর আগে গভীর নলকূপ স্থাপনেও ব্যর্থ হতে হয়েছে। আইডিয়া ও ওয়াটার এইড দীর্ঘ সময় ব্যয় করে ভূগর্ভে পাথর কেটে ৬০০ ফুট গভীরে এই সুপেয় পানির কূপ স্থাপন করেছে।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ইমামুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আরও সাতটি এমন দুর্গম এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষকে এভাবে তারা সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
দুপুরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ইমামুর রহমান, আইডিয়ার শ্রীমঙ্গল প্রজেক্ট ম্যানেজার পংকজ ঘোষ দস্তিদার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, লালতীর সীড-এর সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মৃনাল কান্তি দাশ ও শাখাওয়াত হোসেন।