ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাবে ও দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2021, 09:15 AM
Updated : 30 March 2021, 09:15 AM

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই বিক্ষোভ দেখান সাংবাদিকরা।

এ সময় তারা হেফাজত ইসলাম ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা করায় হেফাজত ইসলাম ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সংবাদ বয়কট করা হবে।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায়। এই সময় আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।

ওইদিন বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব শুরু করে একদল মাদ্রাসাছাত্র। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে, ভাংচুর চালায়। শনিবারও তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালায়, যেখানে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়।     

পরদিন রোববার তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সরকারিসহ স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে। এদিন আরও দুজন নিহত হন।

সাংবাদিকনেতা বিজন বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মাদরাসা ছাত্র ও হেফাজত ইসলামের হামলায় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামি, আমাদের নতুন সময় ও আমাদের সময় ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি, ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার মাসুক হৃদয়, একুশে টিভির প্রতিনিধি মীর মোহাম্মদ শাহীন, এটিএন নিউজের ক্যামেরা পারসন সুমন রায়, লাখোকণ্ঠের প্রতিনিধি বাহাদুর আলম, ডেইলি ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধি ইফতেহার রিফাত, এনটিভির ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম আহত হন।

“এছাড়া প্রেসক্লাবে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। তাদের তাণ্ডবে প্রেসক্লাবে অবস্থান করা জেলার অর্ধশত সাংবাদিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। একাত্তর টিভির প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি ও আজকালের খবর প্রতিনিধি মোজাম্মেল চৌধুরী কাজ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন।”

প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান শাদাত, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

তারা হামলাকারী অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

আরও পড়ুন: