হেফাজতের হরতাল: জেলায় জেলায় তাণ্ডব

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে সংগঠনটির সমর্থকরা। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2021, 08:02 PM
Updated : 28 March 2021, 08:19 PM

নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সিলেটে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী সমাবেশের সময়  ঢিল ছোড়ার পর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম আন্তনগর ট্রেন সোনারবাংলায় হামলা করেছে। নারায়ণগঞ্জে বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাসহ মোট ১৩টিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে এ্যাম্বুলেন্স, একটি মিডিয়ার গাড়িসহ শতাধিক যানবাহন। ময়মনসিংহে একটি সরকারি অ্যাম্বলেন্স ভাংচুর করেছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় নেমে শুক্রবার সকালে হেফাজত কর্মীরা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা চালালে সংঘাতে চারজন নিহত হয়।

ওইদিনই বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্ররা রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে এবং শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। পরদিন শনিবার তারা ফের আইনশঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়, যেখানে অন্তত পাঁচজন নিহত হন।

এরপর রোববার তারা সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে হেফাজত সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে; এর মধ্যে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাসহ মোট ১৩টিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রের একটি গাড়িসহ শতাধিক যানবাহন।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই শতাধিক শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। দফায় দফায় পুলিশ ও পিকেটারদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

এদিকে, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রাখলে তাকে আধঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। রাত বাড়ে ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই শতাধিক টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ইউটার্নে হেফাজতের নেতাকর্মীরা হরতাল সমর্থনে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা সড়কে বাশ, কাঠ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, লোহার খণ্ড ফেলে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ সময় তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

সকাল সাড়ে ১১টার পর পুলিশ-বিজিবি তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ধাওয়া দেয়। এতে পুলিশ শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। হরতালকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সদরের ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, হেফাজতের ডাকা হরতালে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের করে অরাজকতা সৃষ্টি করলে প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন, বিজিবি-পুলিশ-র‌্যাব মাঠে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মুন্সীগঞ্জ

সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলীর কাছে শিকারপুরে হেফজতে ইসলামের হামলায় ওসিসহ সাত জন পুলিশ ও আওয়মী লীগের নেত-কর্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত  সিরাজদিখান থানার ওসি জালালউদ্দিনকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জান-মাল রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও বিজিবি তলব করা হয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফায়েজুর রহমান জানান, ওসির দেহে ৩১টি সেলাই পড়েছে। তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১২টার দিকে হেফাজতের ইসলামের কর্মীরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের নিমতলীর কাছে শিকারপুরে ব্যারিক্যাডসহ হরতালের সমর্থনে জড়ো হতে থাকলে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এই সময় মাথায় আঘাত পান সিরাজদিখান থানার ওসি।

সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হরতাল না করতে বলতেই তারা আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে সিরাজদিখান থানার ওসিসহ বেশ কয়েক জন পুলিশকে আহত করে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ময়মনসিংহ

দুপুরে ময়মনসিংহের-মুক্তাগাছা সড়কে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করেছে হরতাল সমর্থনকারীরা। 

মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুমাইয়া বলেন, ভাংচুর করা অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। 

অ্যাম্বুলেন্স চালক তুষার মিয়া বলেন, ময়মনসিংহ থেকে করোনা ভ্যাকসিন আনার জন্য যাওয়ার পথে মনতলায় হরতাল সমর্থনকারীরা অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে তাকে মারধর করে এবং অ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করে। 

ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স জরুরি, তা চলবেই। বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এটি দুঃখজনক ঘটনা।” 

খুলনা

হেফাজতে ইসলাম হরতালের সমর্থনে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গার নাজিরঘাট মাদরাসা থেকে মিছিলটি নিরালার মারকারাজ মসজিদের সামনে আসলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম বলেন, মিছিল করতে গেলে তাবলিগ মসজিদের পাশ থেকে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের পুলিশ হেফাজতে থানায় আনা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি।

সিলেট

সিলেটে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী সমাবেশের সময় হেফাজতে ইসলাম কর্মীরা ঢিল ছোড়ার পর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

হেফাজতের ডাকে হরতালের মধ্যে রোববার দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফুল্লাহ তাহের জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তালতলা এলাকা থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।

মিছিলটি বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, সিটি পয়েন্ট ও জিন্দাবাজার ঘুরে সিটি পয়েন্টে গিয় শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।

সমাবেশ চলাকালে বন্দরবাজার করিম উল্লাহ মার্কেট এলাকা থেকে তাদের দিকে ঢিল ছোড়ে হেফাজত কর্মীরা। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এক পর্যায়ে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, “হরতালের নামে হেফাজতের কর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।”

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মত তাণ্ডব চালিয়েছে মাদ্রাসার ছাত্ররা।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে হেফাজতকর্মীরা।

পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কীসের আঘাত তা ময়নাতদন্ত না করলে বলা যাবে না।”

নিহতদের একজন হলেন সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের সফী আলীর ছেলে আলামিন (১৯)। অন্যজনের নাম জানা যায়নি, তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।

এই নিয়ে সহিংসতায় এই জেলায় অন্তত সাত জনের প্রাণহানি ঘটল। তাদের মধ্যে পাঁচজন শনিবার পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতাল সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, জেলা গণগ্রন্থাগার, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আনন্দময়ী কালীবাড়ি, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত উন্নয়ন মেলার অন্তত অর্ধশত স্টল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবনেও হামলা চালায় হেফাজতকর্মীরা।

হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয় এবং জেলা পুলিশ লাইনসে হামলার চেষ্টা চালায়।

তাদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি আহত হন।

শহরের ভিতর বিভিন্ন গলিতে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে যেতে বেগ পেতে হয়।

আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মাজহারুল করিম বলেন, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশুগঞ্জের মধ্যবর্তী তালশহর এলাকা অতিক্রম করার সময় হরতাল সমর্থনকারীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হায়েছে। এরপর ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের পথে ১২ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রাত ১০টায় ফের চলাচল শুরু হয়।

রাজশাহী

রাজশাহীতে বিআরটিসির দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মহানগরীর শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে নগরীর নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

“স্থানীয়রা বাসে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে তারা গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। কারণ বাস দুটি ট্রাক টার্মিনালের ভেতর ৯ মাস ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারি

হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ঘিরে ‘ধর্মীয় উন্মাদনা ও উচ্ছৃঙ্খলতা’ বন্ধ না করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর, সংঘাত ও প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে সরকারের এই সতর্কবার্তা এল।

বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত দুইদিন যাবত কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যাক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল এবং আশুগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল স্টেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বাড়িঘর, প্রেসক্লাবসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে।

“এ জাতীয় ক্ষয়ক্ষতিসহ সকল প্রকার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় জনগণের জানমাল ও সম্পদ রক্ষার্থে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।”