সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থার উত্তরণে দ্রুত সেতুটির সংস্কার দাবি করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্ত-এলজিইডি এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াসহ এতে গাফিলতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তুলশীগঙ্গা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন চলাকালে পাঁচবিবি-গাইবান্ধা সড়কের ফিচকার ঘাট সেতুর তলদেশ থেকে অতিরিক্ত মাটি তোলায় সেতুর একটি পিলার ভেঙে যায়। ফলে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে তার উপর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী এই ভোগান্তির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করছেন।
ফিচকার ঘাট সংলগ্ন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আজাদ বলেন, “যখন তারা [পানি উন্নয়ন বোর্ড] নদী খনন কর তখন আমরা বলেছিলাম নদীর পাড়ে মাদ্রাসা ও মসজিদ আছে, সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু আছে, এই এলাকায় যেন বেশি মাটি খনন করা না হয়। আমরা তাদের অনুরোধও করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের কথায় পাত্তা দেয়নি।”
জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাদেুল ইসলাম বলেন, “প্রকল্পের স্বার্থে নদীর ব্রিজের আগে একটা রিং বার দিয়েছিলাম, কিন্তু প্রবল পানির তোড়ে সেই রিং বার ভেঙে ব্রিজের পিলারে আঘাত করে। পুরাতন ব্রিজের পিলারগুলি ইটের গাঁথুনী, তাই পানির তোড়ে পিলারগুলি ভেঙে গেছে। এতে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি, সেতুর পাশ দিয়ে ডাইভারশন করে দিয়েছি, আগামী বর্ষার আগে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিব।”
“এই ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।”