মাদ্রাসা ছাত্রদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনটি মামলা করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, বেলা ৩টার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনটি মামলায় অজ্ঞাত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
“অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও মামলা করবে।”
এর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২ নম্বর ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান দুইটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ ফাঁড়ির মামলা দুটিতে অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর মেড্ডার মামলায় আসামি দেড় হাজার।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদ করে আসছিল হেফাজতে ইসলাম ও কয়েকটি বামপন্থি দল। সুবর্ণজয়ন্তীর দিনও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চালানো হয়। এর মধ্যে শহরের বঙ্গুবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
“বিকালে সেখানে হামলা চালিয়ে সেই শ্রদ্ধার্ঘ পা দিয়ে মাড়ায় এবং অগ্নি সংযোগ করা হয়। পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা দিবসকে অবমাননা করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
এসব ঘটনায় এ জেলায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকদের মধ্যে কোনো মাদরাসাছাত্র আছে কি না সেটি জানায়নি পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, গত শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্ররা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২ নম্বর ফাঁড়ির পরিদর্শক নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।