শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এই উপলক্ষে মন্দির ও রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য বর্ধনসহ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে নরেন্দ্র মোদী শনিবার সকালে ৯টা ৪৫ মিনিটে শ্যামনগর পৌঁছবেন। এখানে শ্যামনগর এ. সোবাহান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নবনির্মিত হ্যালিপ্যাডে তিনি অবতরণ করবেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে ৯টা ৫০ মিনিটে ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রবেশ করবেন। এরপর সেখানে পূজা অর্চনা শেষ করে ১০ টা ১০ মিনিটে তিনি মন্দির ত্যাগ করবেন।
নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরসহ রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে।
“মন্দির ঘিরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সাধারণের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।”
এছাড়া ঈশ্বরীপুর এলাকায় চারটি হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের পাশে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড; উড়ছে দুই দেশের পতাকা।
জেলা প্রশাসক জানান, নরেন্দ্র মোদী এই শক্তিপীঠে পূজা দেবেন। মাত্র ১০ মিনিটের সফর শেষে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি বিশেষ হেলিকপ্টারে চলে যাবেন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে আইনশৃংখলা রক্ষা বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিং করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খ. মহিদ উদ্দীন।
মহিদ উদ্দীন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। ভিভিআইপিদের ক্ষেত্রে যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন ঠিক তেমনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“আমাদের ইনটেলিজেন্সের যে বিষয়গুলো সেটি নেওয়া হয়েছে। আমাদের ভিভিআইপি আগমনের আগের যে নিরাপত্তা সেটি নেওয়া হয়েছে। এমনকি তার চলে যাওয়ার আমাদের যে দায়িত্ব সেটি নেওয়া হয়েছে।”
ফোর্সদের ব্রিফ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কী করনীয়, কীভাবে কাজ করবে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে নরেন্দ্র মোদী নবনির্মিত হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করবেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে ৯টা ৫০ মিনিটে ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রবেশ করবেন। এরপর সেখানে পূজা অর্চনা শেষ করে ১০টা ১০ মিনিটে তিনি মন্দির ত্যাগ করবেন।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্য আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ যুব কমিটির সাতক্ষীরার জেলা আহবায়ক সাংবাদিক কৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে আগমন এটি নিঃসন্দেহে এলাকার মানুষের জন্য সৌভাগ্যের।
তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ভারত বাংলাদেশের একমাত্র নৌ-বন্দর সাতক্ষীরার বসন্তপুর-হিঙ্গলগঞ্জ নৌবন্দরটি চালুর জন্য দুই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, মোদীর আগমনের কর্মসূচিকে ঘিরে সাতক্ষীরায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সুন্দর রয়েছে।
কোনোভাবে কেউ যেন তার বিঘ্ন না ঘটায় তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।