বৃহস্পতিবার বিকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মনোয়ারা ইসরাত। সদস্যরা হলেন ওই আবাসন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খানম, উপ-সচিব জগদীশ দেবনাথ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম ও গাজীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহনাজ আক্তার।
আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই কেন্দ্রে একজন ফুল টাইম তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিবাসী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে কোনো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কেন্দ্রের নিবাসীদের খাবারের মান আরও বৃদ্ধি ও কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ও আবাসন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খানম বলেন, “এখানে ফুল টাইম অফিসার নেই। আমি এ কেন্দ্রের এডিশনাল দায়িত্ব পালন করছি। এ কেন্দ্রে মোট ২৮ জন নিবাসী ছিলেন, তার মধ্যে বুধবার রাতে ১৪ জন পালিয়ে গেলেও সাত জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, তদন্তে সাত দিন সময় পেলেও তার আগেই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে মাসে মাথাপিছু দুই হাজার পাঁচশত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ এখানে জনবল বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের পর তদন্ত ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নানা সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করা হবে।
গত বুধবার গভীর রাতে ওই কেন্দ্রের ভবনের তিন তলার জানালার গ্রিল ভেঙে ওড়না দিয়ে রশি বানিয়ে ১৪ জন নিবাসী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তাদের সাতজনকে আটক করে।
বাসন থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক জানান, এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের স্টোর কিপার আব্দুর রহমান মোল্লা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার বিকালে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন।