করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সকল প্রস্তুতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতসৌধে ওঠার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে পুরো সৌধ এলাকা ধুয়ে মুছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শুক্রবার সূর্যদয়ের সাথে সাথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিকরা।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানান, সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমাজের সর্বস্তরের লোকজনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতিসৌধে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদি শ্রদ্ধা নিবেদন করে চলে যাওয়ার পর আবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সর্বসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি সৌধ প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সৌধ প্রাঙ্গণকে ধুয়ে-মুছে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। পহেলা মার্চ থেকে প্রায় ১৫০ জন কর্মী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ধোয়া-মোছা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরে এসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশে নেওয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং শীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।