গাইবান্ধায় বাড়ির ভেতর বোমা বিস্ফোরণে তিনজন নিহত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণে তিন যুবক নিহত হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2021, 01:16 PM
Updated : 24 March 2021, 04:12 PM

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে এ ঘটনায় আরও অন্তত তিনজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

নিহত বোরহান উদ্দিন প্রধান ওই গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের ছেলে, অহেদুল ইসলাম একই গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে ও । এরমধ্যে বিস্ফোরণে রানা মিয়ার বুক ছিদ্র হয়ে গেছে। তার বাম হাতের কব্জি উড়ে গেছে।

নিহত বোরহান উদ্দিন প্রধান (৩৬) ওই গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের ছেলে, অহেদুল ইসলাম (৩৬) একই গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে এবং একই উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রানা মিয়া (৩০) বলে পুলিশের কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ তিনজনের মুত্যুর কথা স্বীকার করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “এখানে সিআইডির টিম ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।”   

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

“বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। তারা আসলেই বিষয়টি জানা যাবে।”

তিনি জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ৩ থেকে ৪ জন অপরিচিত ব্যক্তি আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে আসে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির মধ্যে শোরগোল ও গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে আবুল কাসেমের এক ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়।

এতে আহত অবস্থায় পালানোর সময় এলাকাবাসী অপরিচিত একজনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে।

তবে এ বিস্ফোরণের কারণ বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পুলিশ জানায়নি। বিষয়টি অনুসন্ধানে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, নিহত বোরহানের স্ত্রী হিরা বেগম বলেন, “বুধবার বিকেলে আমার স্বামী বোরহান বাড়ির অদূরে জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে আসে।

“কিছুক্ষণ পর একই গ্রামের অহেদুল ইসলাম আমার বাড়িতে আসেন। এ সময় অহেদুল আমার স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে জমি থেকে তাকে এনে একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশ করে। আমি তখন অন্য এক ঘরে কাজ করছিলাম।

“কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দ হয়। শব্দ শুনে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে দেখতে পাই বিস্ফোরণে ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে এবং রুমের পাশে দুইজনের লাশ পড়ে আছে।”