উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান।
শারমিন আক্তার (২২) নামের ওই গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি কাবিলের বাজার গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ছালামের মোড় গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় শারমিনের শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে (৪৫) রাতেই আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
এ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার বর্ণনায় বলেন, প্রায় দুই বছর আগে কোরবানের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে দুই মাসের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শারমিনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
“মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে শারমিনকে মারধর করে কোরবান।পরে শাশুড়ি শারমিনকে ধরে রাখেন আর স্বামী লাইটার দিয়ে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে শারমিনের শরীর ঝলসে যায়।”
খবর পেয়ে রাতেই স্বজনরা শারমিনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর পাঠানোর পরামর্শ দেন বলে জানান ওসি মজিবর।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আফিসার ডা. হারুন-অর রশীদ জানান, শারমিনের শরীরের অধিকাংশ আগুনে ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।