কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহদাত হোসেন মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগুন রাতে নিয়ন্ত্রণে এলেও পোড়া ধ্বংস্তুপের কোথাও কোথাও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাজ করছেন।
“আমরা এ পর্যন্ত সাতজন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে এপিবিএনকে হস্তান্তর করেছি। তাদের মধ্যে দুটি শিশু, দুজন নারী এবং বাকি তিজন পুরুষ।”
ক্যাম্পে আগুন লাগার পর পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয় বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানান।
তিনি বলেন, “ক্যাম্পের বসত ঘরগুলো ঝুপড়ির মতো লাগোয়া হওয়ায় এবং সে সময় বাতাসের গতি বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন লাগার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীসহ স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।”
কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, পাশাপাশি চারটি ক্যাম্পের মধ্যে ৮ নম্বর ক্যাম্প পুরোপুরি পুড়ে গেছে। বাকি তিনটি ক্যাম্পেরও বেশিরভাগ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“সব মিলিয়ে প্রায় দশ হাজার ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তা নিরূপন করবে তদন্ত কমিটি।”
ওই চার ক্যাম্পের ঘর হারানো বাসিন্দাদের খাবার ও আশ্রয়ের জন্য ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় কাজ করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কক্সবাজারের ডিসি মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।