নবাবগঞ্জে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর মিলল দুই এনজিও কর্মীর লাশ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজ দুই এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কেরাণীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2021, 05:25 PM
Updated : 22 March 2021, 05:25 PM

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মুরগির ফার্ম ও অটোরিকশা গ্যারেজের পেছনে ইছামতি নদীর তীর থেকে পাশাপাশি মাটি চাপা দেওয়া দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ।

নিহতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম (৩০) এবং নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা অভিজিৎ কুমার মালো (২৮)।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের আনিসের ছেলে ও ওই এনজিওর ঋণগ্রহীতা ইউসুফ আলী (৩৫), একই গ্রামের বাসিন্দা ও ওই এনজিও আরেক সদস্য মুকলেছুর রহমানের ছেলে রনি (২৫) এবং তার কাকাত ভাই মনির হোসেন (৩০)।

ওসি সিরাজুল জানান, নিহত ওই দুজনই সোসাইটি ডেভোলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) চুড়াইন শাখার ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদের মধ্যে রাজিবুল গত ৫ ডিসেম্বর এবং অভিজিৎ এ বছরের গত ১৬ তারিখ থেকে এনজিওর কাজে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

রাজিবুল নিখোঁজের দিন ওই প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক জিন্নাত আলী এবং অভিজিতের নিখোঁজের দিনই বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক সমরেশ চট্টোপাধ্যায় থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে রাজিবুলের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।

থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দলে তদন্ত শুরু করে।

সোমবার এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যে ইছামতি নদীর তীরে ওই স্থানে পাশাপাশি মাটিচাপা দেওয়া ওই দুই এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের সহকর্মীরা এসে লাশ শনাক্ত করেছেন বলেন ওসি সিরাজুল।

লাশ দুটোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে ও গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।

অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় থানায় আরও একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।