শনিবার রাতে ও রোববার সকালে উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে এ সংঘর্ষের কথা জানিয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি।
“লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাকিতায় উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার রাতভর সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এছাড়াও রোববার সকালে চাচরা ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার উওর মাথা এবং চাচরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে চাচরা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও চাচরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন হান্নান বলেন, নৌকার সমর্থকরা মিছিল করে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে। বাড়িতে হামলা চালায়।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমর্থকরা জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রচার প্রচারণাকালে ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নানের সমর্থরা নৌকার মিছিলের উপর হামলা করে।
এসব সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে এবং ১০টি বসতঘর ও ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।