মঙ্গলবার বিকালে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের রামরতন গ্রামে এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কের তিনটি জায়গায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এলাকাবাসী।
আহত আতাউর রহমান মিন্টু বর্তমানে কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক। গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। যেকোন মূল্যে তাদের আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।
আহত মিন্টুর বড় ভাই রাজু মিয়া জানান, দুই বন্ধুসহ আতাউর রহমান মিন্টু মোটরসাইকেলে করে রাজারহাট থেকে কাঠাঁলবাড়ী আসছিলেন।
পথে রামরতন গ্রামে বিপরীত দিকে থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ থেকে ৭জন এসে আকস্মিকভাবে এ হামলা চালায়। তাদের আঘাতে মিন্টু গুরুতর আহত হন। তবে মিন্টুর দুই বন্ধু হামলার মুখে পালিয়ে যায় বলেন তিনি।
রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় এখনও মামলা হয়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুস্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকাল ৪টার দিকে আহত মিন্টুর আত্মীয় স্বজন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর, সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এবং কাঁঠালবাড়ীতে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়ক অবরোধ করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। এ সময় এ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।