সোমবার সদর উপজেলার দাঁতভাঙ্গা তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌসিফ রহমান মেলা উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, জুমের ঐতিবাহী যে বীজগুলো রয়েছে তা দিয়ে প্রতিবছর চাষ করতে হয়। এক বছর চাষ না করলে পরের বছর আর বীজ পাওয়া যাবে না। অনেক সময় বীজ না পাওয়ার আশঙ্কায় জুমিয়ারা চাষ করতে বাধ্য হন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির বান্দরবান জেলা সভাপতি জুয়ামলিয়ান বলেন, যুগ যুগ ধরে জুমচাষ করে আসলেও কোন মাটিতে, কোন বন-জঙ্গলে কোন বীজের ফল ভালো হবে এ নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।
স্থানীয় পাড়াবাসী লবক তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, জুমচাষের পাশাপাশি ছড়া ও ঝিরি-ঝরনায় পাথর ও গাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা দরকার। পনেরো বছর আগে থেকে পাড়ার ঝিরির পাশে গাছ সংরক্ষণের কারণে শুষ্ক মৌসুমে এই পাড়ার বাসিন্দাদের পানির সংকটে ভুগতে হয় না।
এসব পাড়ার জুমিয়া পরিবারদের মধ্যে জুমের বিভিন্ন জাতের বীজ আদান-প্রদান করা হয়েছে। এই বছর মার্চ মাসে জুমক্ষেত কাটা ও পোড়ানো শেষে এপ্রিল মাস থেকে জুমের বিভিন্ন বীজ লাগানো শুরু হবে।
দাঁতভাঙ্গা পাড়া কারবারী রাঙ্গাসিং তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন তারুম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (টিডিও) কর্মকর্তা লিসা চাকমা, বসুমতি তঞ্চঙ্গ্যা ও বুদ্ধজ্যোতি চাকমা।
উদ্বোধন শেষে মেলায় আসা দর্শণার্থীরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।