‘যৌতুকের জন্য’ বগুড়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে ‘যৌতুক না পেয়ে’ স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2021, 12:04 PM
Updated : 11 March 2021, 12:04 PM

বৃহস্পতিবার  সকালে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে এই গৃহবধূর স্বজনের অভিযোগ।

১৯ বছর বয়সী এই গৃহবধূকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী শাজাহানপুর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামে বাবলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বুলবুল মিয়ার (২৫) সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। কিছুদিন ভালোভাবে তাদের দাম্পত্য জীবন কাটছিল। সম্প্রতি তার স্বামী যৌতুকের টাকা দাবি করলে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

“বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে টাকা ও জিনিসপত্র দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পরিশোধে চাপ দেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু টাকা না পেয়ে তারা মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাস খানেক আগে মেয়ে আমার বাড়ি চলে আসে।”

তিনি আরও বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে মেয়ের স্বামী বুলবুল তাদের বাড়ি যান। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেও যৌতুকের বিষয়গুলো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এই সময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না।

“এই সুযোগে বুলবুল পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শয়নকক্ষে আমার মেয়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা-জানালা আটকে দিয়ে পালিয়ে যায়।”

এই বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ঘটনাটির খবর পেয়ে তিনি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এরপর হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রহস্য উম্মোচিত হবে এবং বুলবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

ওসি আরও জানান, মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার বাবা ও ভাই তাকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি।