জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর প্রায় ৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে; গত বছর যা ছিল ৬০ শতাংশের কিছু বেশি। সেই তুলনায় গত বছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি গাছে মুকুল এসেছে এ বছর। এই সংখ্যা এর আগে কয়েক বছরের চেয়ে ‘রেকর্ড পরিমাণ’ বেশি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বছর এ জেলায় ৩৪ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে; যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৭০৩ হেক্টর বেশি। গত বছর ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়; আর উৎপাদন হয় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিকটন।
সদর উপজেলার লাহারপুরের আবু বকর বলেন, “এবার বেশির ভাগ গাছেই মুকুল এসেছে। বলা যায় প্রতিটি ডালেই মুকুল এসেছে। মুকুল দেখে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে সবাই।”
“বাগানে ভাল মুকুল দেখলে মনটা আনন্দে ভরে উঠে। আম চাষিরা নানা রকম স্বপ্ন দেখে এই মৌসুম। এবার মুকুল দেখে এমন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন আম চাষিরা,” বললেন ওই এলাকার নাসির হোসেন।
সদর উপজেলার চামাগ্রাম এলাকায় ছয় বিঘায় আমবাগান রয়েছে মনোতোষ দাসের।
তিনি বলেন, “গত বছর গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে মুকুল খুঁজতে হয়েছিল। এবার মুকুলের ফাঁকে ফাঁকে পাতা খুজতে হচ্ছে। এতটাই বেশি মুকুল এসেছে এ বছর। গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালিসহ সব জাতের গাছেই মুকুল এসেছে।”