বোনের হত্যা মামলার সাক্ষী স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বড়ো বোনের হত্যা মামলার সাক্ষী এক স্কুল ছাত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়েছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2021, 11:16 AM
Updated : 10 March 2021, 11:18 AM

মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময় এই হামলা হয় বলে পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে।

আহত নবম শ্রেণির এই ছাত্রীকে (১৬) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম জানান, মেয়েটি রাতে ঘরে একা ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে।

সেলিম জানান, সকালে পাশের বাড়ির একজন তাকে ডাকতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মো. আজমান মিয়া জানান, প্রায় তিন বছর আগে এই মেয়েটির বড়ো বোনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মোশারফ, জলফু মিয়ার ছেলে ইসমাইল, সোলাইমান মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, সুলতান মিয়ার ছেলে ফারসু মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে তাদের পরিবার।

“মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাদের উপর চাপ প্রয়োগসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে তাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

আহত মেয়েটির মা বলেন, তার বড়ো মেয়েকে হত্যার মামলায় সাক্ষী ছিলেন ছোটো মেয়ে মারজানা। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।

“তারাই আমার ছোটো মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে।”

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আাবিদুর রেজা বলেন, আহত মেয়েটির মাথা ও গলার আঘাত গুরুতর। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে সিলেটে রেফার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে।”