প্রতিবন্ধী নারীকে ফেলে দিল বাস থেকে, ভিডিও ভাইরাল

‘ভাড়া দিতে না পারায়’ ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস থেকে বাক-প্রতিবন্ধী এক নারীকে ফেলে দিয়েছে বাসটির লোকজন।

কেরানীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2021, 03:13 PM
Updated : 8 March 2021, 03:13 PM

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একদিন আগের এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমালোচনায় সোচ্চার হয়। 

এর প্রতিবাদে সোমবার উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দোহার-নবাবগঞ্জ সর্বসাধারণ ব্যানারে মানববন্ধন করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

রোববার উপজেলার রামেরকান্দা-রুহিতপুর সড়কে ডাচবাংলা ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় ওই নারীকে ‘এন মল্লিক পরিবহন’র একটি এসি বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

মানববন্ধনে বক্তারা এই বাসের কর্মচারীদের সমালোচনা করে জনগণের সেবায় মন দিতে বলেন; তা নাহলে জনতা তাদের প্রতিহত করবে বলে হুঁশিয়ার করেন।

মানববন্ধনে ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উমর ফারুক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাসদীদ আহমেদ, মনোয়ার মৃধা জনি, নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রানা, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি দীপ্ত দেওয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নাহিদুল আলম নাদিম ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ওই নারী লিখে জানান, রোববার সকালে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা থেকে তিনি এন মল্লিক পরিবহনের বাসে ওঠেন।  ভাড়া দিতে না পারায় বাসের হেলপার তাকে রামেরকান্দা-রুহিতপুর সড়কের ডাচ-বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর বাসটি দ্রুত চলে যায়।

এতে ওই নারী মাথা ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারী কান্না করছিলেন। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কথা না বলে কাগজে ঘটনার সারমর্ম লিখে দেন। এতে সবাই বুঝতে পারেন তিনি বাক প্রতিবন্ধী।

ওই নারী লিখেন, এন মল্লিক কোনাখোলা থেকে তাকে তুলেছে। এন মল্লিক তার কাছ থেকে কখনও ভাড়া নেয় না। ওইদিন তারা ভাড়া চায়, দিতে না পারায় ফেলে দেয় বাস থেকে।

ফেইসবুকে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কটিতে চলাচলকারী এন মল্লিক পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১৫২১) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাস থেকে হঠাৎ করে এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।

আশপাশের লোকজন ওই নারীকে প্রাথমিকভাবে টেনে তুলে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কথা বলার চেষ্টা করেন ওই নারীর সাথে। তিনি ইশারায় জানান যে তিনি কথা বলতে পারেন না। পরে তার হাতে একটি কলম দেওয়া হলে পুরো ঘটনা লিখে জানান তিনি।