কুষ্টিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার একদিন পর যোগাযোগ স্বাভাবিক

কুষ্টিয়ায় একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী, রাজবাড়ী-খুলনা এবং ফরিদপুর-রাজশাহী লাইনে বন্ধ থাকা ট্রেন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2021, 05:04 PM
Updated : 6 March 2021, 05:04 PM

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি-ফরিদপুর-টুঙ্গিপাড়া, রাজবাড়ি-কুষ্টিয়া-খুলনা-রাজশাহী এবং ফরিদপুর-রাজশাহী রেলপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম।

আগের দিন দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া মিলপাড়ায় গমভর্তি মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে ওই রেল লাইনে চলাচল স্বাভাবিক করতে মেরামতের চলে।

এ দুর্ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে কুষ্টিয়া রেল স্টেশন মাস্টার জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার দুপুরে গমভর্তি মালবাহী ট্রেনটি পোড়াদহ স্টেশন মাস্টার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ছেড়ে দেন। এরপর জগতি ক্রস করলে আমি কুমারখালীকে ১টা ১৯ মিনিটে লাইন ক্লিয়ার জানাই।

“আমার স্টেশন ক্রস করে চলে যাওয়ার জন্য যথানিয়মে সিগন্যাল দিই। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ ট্রেনটি থেমে যায়। বিষয়টি জানার জন্য আমি সামনে এগুতে থাকি। কিছুদূর গিয়ে দেখি রেলের কাটপিস বহনকারী ট্রলি ছিটকে লাইনের পাশে পড়ে আছে।

“ওই ট্রলির রেলের টুকরাগুলি লাইনচ্যুত বগির নিচে আটকে গিয়ে সবকিছু দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ৫টি বগি পড়ে গিয়েছিল।”

তিনি জানান, সে সময় দুর্ঘটনায় জড়িত ওই ট্রলির চালকদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারা ছিল তাও জানতে পারেননি।

তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রকৌশলীর স্বাক্ষরে একটি চিঠি পেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আইএমইর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন এসব রেল বহনের কাজ করছিল বলে জানতে পেরেছেন।

“তারা কেউই রেলের লোক নয়, ঠিকাদারের লোক। সেকারণেই আমার নিষেধাজ্ঞার পরও তারা লাইনে ট্রলি তুলেছে বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।”