রাঙামাটিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল ২০ ঘর, রাতে থাকবে স্কুলে

রাঙামাটি শহরের কাঁঠালতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ২০টি বসতঘর পুড়ে গেছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2021, 12:34 PM
Updated : 6 March 2021, 12:34 PM

শনিবার দুপুরে কাঁঠালতলীর আলম ডক-ইয়ার্ড সংলগ্ন মসজিদ কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত রাতে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

জেলার ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আগুনে ২০টির মতো বসত ঘর পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিআর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

“রাতে থাকার জন্য আপাতত পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হবে।”

দুপুরে আগুন লাগার পর পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল তার আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তফা মহসীন জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত হইনি। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ আকাশে আগুনের কুণ্ডলী দেখা যায়। ঘনবসতি এলাকা হওয়াতে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যেই আশেপাশের ঘরবাড়িতে আগুন লেগে যায়।

ওই এলাকার দোকানি অনুপম বড়ুয়া বলেন, “আমার দোকানের একদম পাশের দোকানে হালকা আগুন লেগেছে।

সেখানে ছাপাখানাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দোকান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় এদিকে আগুন ছড়াতে পারেনি। না হয় দোকানপাটগুলোতে আগুন লাগতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতো।”

আগুন লাগার পরপরই আশেপাশের দোকানদাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই দোকানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অপর পাশে নিয়ে যান।

স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। কাঁচা ঘর হওয়ার কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ স্থানীয়দের ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাঙামাটির ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।