শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি নতুন করে জোরালো হয়ে উঠেছে।
সে প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, বিতর্কিত এ আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করার কোনো পরিকল্পনা বা সম্ভাবনা আছে কি না।
উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন।”
এর আগে গত ১ মার্চ আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না- এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা থেকেই যায়।
এখন অনেকে বলছেন, সেই আশঙ্কা যে সত্যি ছিল, কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুই ‘তার প্রমাণ’।
গত বছরের ৬ মে লেখক-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাককে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে অভিযোগপত্র দেওয়া হলে সেখানেও তাকে আসামি করা হয়।
গত দশ মাসে কয়েকবার আবেদন করেও জামিন পাননি ৫৩ বছর বয়সী মুশতাক। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হলে সারা দেশে শুরু হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অব্যাহত অপপ্রয়োগের যে অভিযোগ আসছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে- সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।"