হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার অভাব ও আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে।
“গত এক মাসে এই হাসপাতালে প্রায় দুই হাজার আর গত এক সপ্তাহে প্রায় পাঁচশ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে; যা স্বাভাবিক সময়ে চেয়ে বেশি।”
রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “রোটা ভাইরাস ছাড়াও আবহাওয়ার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, অপরিচ্ছন্নতা, কম পানি খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে।”
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বেড না পেয়ে রোগীরা মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই প্রথমে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে হাসপাতালে এসেছেন।
জেলার বিরামপুর উপজেলার খিয়ারপুর গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, তার শিশুসন্তানের ১৫ দিন ধরে ডায়েরিয়া চলছে। পরে বিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে সাত দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে উন্নতি না হওয়ায় সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
“শুনেছি জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা হয়। তাই এখানে ভর্তি করিয়েছি। এখনে আসার পর আমার বাচ্চা সুস্থ হচ্ছে।”
প্রায় প্রতিবছর এ সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয় বলে রোগীরা জানিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।