বুধবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধারের পাশাপাশি ; এ এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহেশখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
অপহৃত শিশু মোজাহিদ মিয়া (১৬) মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা সিকদার পাড়ার আবদুল গফুরের ছেলে।
গ্রেপ্তার রোজিনা আক্তার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার জহির আলমের মেয়ে।
এএসপি জাহিদুল বলেন, গত ২ জানুয়ারি মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা সিকদার পাড়া থেকে নিখোঁজ হয় মোজাহিদ মিয়া।
তার পরিবারের স্বজনরা খোঁজ নিয়েও সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ শিশুর বাবা মহেশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
"এরপরও দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ মোজাহিদ মিয়ার সন্ধান পায়নি স্বজনরা। এক পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তার মায়ের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক নারী কল করে ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ দাবি করেন। "
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে শিশুটির বাবা আবদুল গফুর বাদী হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশও অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে।
মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে কৌশলে টেকনাফের শামলাপুর এলাকা থেকে রোজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে মোজাহিদ মিয়াকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জিন্মি করে রাখার তথ্য পায় পুলিশ বলেন তিনি।
জাহিদুল জানান, গ্রেপ্তার রোজিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডব্লিউ-এ/ডি ৪ ব্লকের বাসিন্দা বশির আহমদের ঘরে অভিযান চালিয়ে মোজাহিদ মিয়াকে উদ্ধার করা হয়।