ভবনে রডের বদলে বাঁশ: মামলার বিচার শুরু

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কৃষি বিভাগের ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করার মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

হাসান আলী কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2021, 02:09 PM
Updated : 2 March 2021, 02:09 PM

দুদকের কৌঁসুলি আল-মুজাহিদ মিঠু জানান, সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম চার আসামির উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয় ইন্টারন্যাশনাল লি. এর স্বত্ত্বাধিকারী মনির হোসাইন, প্রকল্প উপকরণ ক্রয় কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়ুব হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের ভৌত অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সাত্তার।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলায় দর্শনা পৌর এলকার কলেজ পাড়ায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ফাইটোসেনেটারি ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের’ অবকাঠামো নির্মাণকালে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজস করে দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা নিয়ে সরকারর ২ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ২২৭ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন ও সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশের পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুকক) আইনজীবী আল-মুজাহিদ বলেন, এই ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিনিয়র মনিটর ও ইভ্যালুয়েশন প্রকল্পের পরিচালক মেরিনা জেবুন্নাহার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল দামুরহুদা মডেল থানায় মামলা করেন।

তিনি জানান, থানায় করা এই মামলার তদন্ত ভার পরে দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অভিযোগ গঠনের দীর্ঘ সময় লাগার বিষয়ে দুককের এই আইনজীবী বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষ করে প্রায় আড়াই বছর আগে দাখিল করা এই অভিযোগপত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে নানা জটিলতা দেখা দেয়।

“একদিকে ছিল না নির্ধারিত কোর্ট, অন্যদিকে গেল বছর পুরোটাই করোনা সংকটে আটকে ছিল বিচারিক প্রক্রিয়া। তবে এখন খুব শীঘ্রই মামলাটির বিচারিক প্রকিয়া সম্পন্ন হবে।”

আরও পড়ুন