নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে মিস কেইস হয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার বিবরণে মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষণ রাজবংশী তার লিখিত অভিযোগে জানান, নতুন বান্দুরা মৌজাস্থিত ১ নম্বর খাস খতিয়ানের এসএ দাগ ২৭২ এবং আরএস ৩৫০ দাগের ৪৯ শতক জমি দেবালয় শ্রেণিতে রূপান্তরিত। এ জমিতে কালি মন্দির স্থাপন করে একশ বছরের বেশি সময় ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা করে আসছেন।
তিনি বলেন, তাদের ভোগ দখলীয় দেবালয় সম্পত্তি ১৯৮১ সাল থেকে রমনী মোহন দাসের নামে ২৪০ নম্বর সৃজনকৃত দলিলে দেখানো হয়। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে হরেকৃষ্ণ দাস, শ্রীকৃষ্ণ দাস, প্রাণকৃষ্ণ দাস নবাবগঞ্জ ভূমি অফিসে ভুল তথ্য দিয়ে ষোলআনা সম্পত্তি নামজারি করে নেন।
লক্ষণ রাজবংশী আরও অভিযোগ করে বলেন, “জমির উপর জবর দখলে থাকা লোকেরা মন্দিরে কোনো কার্যক্রম করতে গেলে আমাদেরকে বাধা সৃষ্টি করছেন। মন্দিরে কাজ করতেও নিষেধ করেন।”
দেবোত্তর সম্পতি দখল উদ্ধার করতে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি মাসে নবাবগঞ্জ ভূমির সহকারী কমিশনার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, জমি দাবিকারীদের পক্ষে হরেকৃষ্ণ দাস বলেন, “এ সম্পত্তি আমার বাবা সরকারের কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছেন। ওটা আমাদেরই পারিবারিক মন্দির ছিল।”