বাগেরহাটে যুবককে বেঁধে নির্যাতন, ৪ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ‘মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে’ এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2021, 04:33 PM
Updated : 28 Feb 2021, 07:25 PM

গত বুধবার উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় জামুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এই নির্যাতনের দৃশ্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ওইদিনই ২২ বছর বয়সী এই যুবককে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এই ঘটনার পরদিন [বৃহস্পতিবার] ওই যুবক বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল খানসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মীর মো. সাফিন মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চরনি পত্তাশি গ্রামের এক যুবককে (২২) মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মোরেলগঞ্জের চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় জামুয়া গ্রামে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তার সহযোগীরা।

“এই নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হলে তা ভাইরাল হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।”

সাফিন মাহমুদ জানান, এই ঘটনায় ওই যুবক বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

“ঘটনার পর ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।”

তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।