বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের কবর থেকে মরদেহটি তোলা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নাসির হাওলাদার বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার গয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি গোলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
মৃত্যুর নয় মাস পর গত ১০ ফেব্রয়ারি নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার মোবাইল ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁসের পর তার স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং রাজু মিয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফাতেমা মিতু বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা এলাকার মাহতাব মৃধার মেয়ে, তিনি বরগুনার থানাপাড়ায় বাবার ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে।
বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে মরদেহের অবশিষ্টাংশের ময়না তদন্ত করা হবে। পরে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত মরদেহ তুলে করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এ নির্দেশের আলোকে বুধবার নির্বাহী হাকিম তানভীর আহমেদ, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়রাজ হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বরজিত কুমারের উপস্থিতিতে কবর খুড়ে মরদেহের অবশিষ্টাংশ তুলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেন তিনি।
২০২০ সালের ২৩ মে রাতে নাসির তার বাড়িতে মারা যান। সে সময় স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয় বলা হয়েছিল। ফলে তার মরদেহ দাফন করেন নাসিরের স্বজনরা।
গত ১০ ফেব্রয়ারি নাসিরকে পরিকল্পিত হত্যার মোবাইল ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই রেকর্ড পুলিশের কাছে পৌঁছানোর পর নাসিরের ভাই আবদুল জলিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু এবং মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুকে আটক করে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু ও রাজু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেন পুলিশ কর্মকর্তা।