কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনির বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন।
গত মাসে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রুপালি চত্বরে বাঁশ-কাঠের এই মঞ্চ তৈরি করেন কাদের মির্জা। সেখান থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনায় করে আলোচনায় আসেন। ভোটে জিতে মেয়র হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা।
ওসি জাহিদুল বলেন, “আগেই তাকে তার মঞ্চ সরিয়ে নিতে বলা হলেও তিনি তা শোনেনি। প্রশাসন মঞ্চের কাছ থেকে সরে গেলে তিনি পুনরায় সেখানে সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি মঞ্চটি সরিয়ে নেন।”
নৌকার প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় দফায় পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেন কাদের মির্জা, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হয়।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
সে সময় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এসব ঘটনার পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।