টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ৩

কক্সবাজারের টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন, যাদের একজনকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ বলছে র‌্যাব।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 02:03 PM
Updated : 23 Feb 2021, 06:17 PM

কক্সবাজারের টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন, যাদের একজনকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ বলছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এই সময় র‌্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন এবং বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের একজন হলেন ‘জকির বাহিনীর প্রধান’ মো. জকির আহম্মদ ওরফে জকির ডাকাত (৩৭)। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পের আব্দুল আমিনের ছেলে।

“তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ নানা অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।”

মেজর মেহেদী হাসান বলেন, জকির একজন ‘চিহ্নিত ডাকাত’ ও ‘ইয়াবা গডফাদার’। তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মাদক পাচারসহ নানা অপরাধ সংঘটন করে আসছিলেন।

মেজর মেহেদী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী দুর্বত্ত অবস্থান করছে খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।

“এই সময় র‌্যাব সদস্যরা জকিরের আস্তানার সন্ধান পান এবং তারা ডাকাতের আস্তানাটি ঘিরে ফেলেন। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দূর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।”

মেজর মেহেদী আরও বলেন, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থলে জকিরসহ তিন জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া দুইটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি দেশে তৈরি লম্বা বন্দুক ও ২৫টি গুলি উদ্ধার হয়েছে।

‘গোলাগুলিতে’ র‌্যাবের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানালেও তাদের পরিচয় দেননি তিনি।