পুকুরটি সাতৈর ইউনিয়ন ক এবং খ ভূমি অফিসের কার্যালয় থেকে আনুমানিক ২০ গজ দূরে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সাতৈর ইউনিয়নের ‘ক’ ভূমি অফিসে অবস্থিত পুকুরটি ড্রেজার দিয়ে খনন করা হচ্ছে।
শুষ্ক মৌসুমে পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ড্রেজারের সাহায্যে গত দুই সপ্তাহ ধরে এ পুনঃখননের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘সরকারি নিয়মে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ’, সেখানে খোদ ভূমি অফিসের পুকুরে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
তারা বলছেন, ড্রেজার মালিক পুকুর খননের বিনিময়ে উত্তোলিত বালু তার ইচ্ছে মতো বিক্রি করতে পারবেন। ড্রেজার মালিক পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নিচু এলাকায় প্রতি ফুট ৪ টাকা দরে ওই পুকুরের বালু দিয়ে ভরাট করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুভাষ সাহার বাড়ির পেছনের ফলদ বাগানের একটি নিম্নাঞ্চল সাত দিন যাবত ৩৫ হাজার ফুট বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী গণেশ সাহার নিচু এলাকা বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে বলেও জানান তারা।
ড্রেজার মালিক আকরাম হোসেন বলেন, বোয়ালমারীর এসিল্যান্ড স্যার আমাকে পুকুর খননের দায়িত্ব দিয়েছেন। পুকুর খননের জন্য ভূমি অফিস আমাকে কোনো টাকা দেবে না, আমি বালু বিক্রি করে যা আয় করতে পারি। তাই প্রতি ফুট বালু ৪ টাকা দরে বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ক) শেখ ফরিদ বলেন, ১৫ বছর যাবত শুকনো মৌসুমে পুকুর শুকিয়ে যায় তাই খনন করা হচ্ছে।
পুকুর খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা আসেনি, কোনো বরাদ্দও আসেনি বলে জানান তিনি।
বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক সাংবাদিকদের বলেন, পুকুরটি পতিত পড়ে আছে। কোনো রাজস্ব আয় করতে পারছি না। তাই খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাটি বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের জায়গা ভরাট করার কথা না, আমাদের ভূমি অফিসের নিচু এলাকা ভরাট করার কথা।