কয়েকশ শিক্ষার্থী শনিবার বেলা ১টার দিকে তালা ভাঙা শুরু করেন। প্রথমে আল বেরুনি হল, তারপর ফজিলাতুন্নেসা এবং একে একে ১৬ হলের সবগুলোরই তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তারা। তবে তারা হলে অবস্থান না করে বাইরে চলে যান। ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।
“সেখান থেকে আমরা আশা করছি কোনো দিকনির্দেশনা আসতে পারে।”
সাত দিনের মধ্যে গেরুয়া এলাকার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, আহত শিক্ষার্থীদের দায়ভার প্রশাসনের গ্রহণ, প্রক্টরের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে প্রক্টরের পদত্যাগ ও হলে শিক্ষার্থীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়।
শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে হল না খুললে তালা ভাঙার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
রাকিবুল হক রনি নামে আন্দোলনকারী একজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গেরুয়া এলাকার ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্ববিদ্যালয় হল বন্ধ ঘোষণা করলে এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে গেরুয়া, আমবাগান, ইসরামনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে ভাড়া বাসায় ও মেসে থাকছিলেন।
হল খোলার প্রতিক্রিয়ায় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খোলা হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”