বৃহস্পতিবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়া গ্রামে এ ঘটনায় আহত চয়ন বৈদ্য শুয়াগ্রামের গুরুদাস বৈদ্যর ছেলে।
সে শুয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
এ সময় ছয়নকে বাঁচাতে গিয়ে মঞ্জিলা নামের এক নারীও মারধারের শিকার হয়েছেন। তিনি একই গ্রামের রহমান বিশ্বাসের স্ত্রী।
আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় চয়ন বৈদ্যের বাবা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে ওসি শেখ লুৎফর রহমান জানান।
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার শুয়াগ্রামের ডা. ভবানন্দের বাড়িতে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছত্তার শেখের ছেলে শরিফুল শেখ (২০) ও আতিয়ার শেখের ছেলে আজগর শেখ পূজায় আসা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় চয়ন ও তার বন্ধুরা এর প্রতিবাদ করে।
এ জেরে বৃহস্পতিবার চয়ন বাড়ি থেকে শুয়াগ্রাম বাজারে যাওয়ার পথে শরিফুল ও আজগর তাদের বন্ধুদের নিয়ে চয়নকে মারধর শুরু করে। এ সময় চয়ন দৌড়ে পাশের রহমান বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে আশ্রায় নেয়। পরে হামলাকারীরা সেখানেও তার উপর হামলা চালায়।
এ সময় রহমানের স্ত্রী হামলাকারীদের হাত থেকে চয়ন বৈদ্যকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
চয়নের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, “শরিফুল ও আতিয়ার প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে এসে আমাদের এলাকার স্কুল-কলেজগামী মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করায় ওই বখাটেরা আমার ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।”
এ বিষয়ে জানার জন্য শরিফুল ও আতিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি লুৎফর।