কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, রোববার রাতে ৮০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করে এসআই সজীব মণ্ডল এ মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট চৌরঙ্গী মোড়ে সড়কের ওপর ইজিবাইক পাকিংকে কেন্দ্র করে রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার মুন্সী ও ইজিবাইক চালক বরইহাট গ্রামের আরমানের কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইব্রাহিম মোল্যা ও সহ-সভাপতি আবুল বাশার মুন্সীর সমর্থকরা দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান ও ৬ পুলিশ সদস্যসহ ৪৫ জন আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মামলার পর রাজপাট, বরইহাট, দৈহিসারা, বাহিরবাগ, ধোপাপাড়া, শুক্তাগ্রাম ও নাটগ্রাম গ্রাম এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে শুধু নারী ও শিশুরা অবস্থান করছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে পুরুষ ও যুবকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রামের হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট একেবারে ফাঁকা।প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
ওসি আজিজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইজিবাইক পার্কিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
“মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রামগুলো পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।”
অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বিপ্লব চৌধুরী।
বিডিনি্উজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা মতো আরও অনেকেই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। ঘটনার সময় এলাকায়ও ছিল না, এমন ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “নিরীহ কাউকে এ মামলায় আসামি করা হয় নাই। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানীও করছে না। শুধু জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”