উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস্ ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উদ্ধার অভিযান আবারো শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের সে অভিযানও শেষ হয়েছে তবে এখনও শ্রমিকদের কোন সন্ধান মেলেনি।
এ সময় আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা সেখানে উপস্থিত ছিলেন,।
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা এলাকায় শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় একটি নৌকা প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে ডুবে যায়। নৌকাচালকসহ উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে মাফুয়ার রহমানকে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া বলেন, “খুলনা থেকে ডুবুরি আনার পর দুপুর একটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। নদীতে প্রবল স্রোত ও আলো স্বল্পতার কারণে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। সে অভিযানও শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও তাদেরকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।”