বুধবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন দুই আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ লাভলু জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, দেলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগী আবুল কালাম।
অভিযোগ গঠনের আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ লাভলু আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।
এ সময় আসামিদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী না থাকায় নিজেরাই নির্দোষ দাবি করেন।
আসামিদের কাছে আইনজীবী নিয়োগ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতকে দেলোয়ার হোসেন জানান, কোনো আইনজীবী তাদের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি হচ্ছে না।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশীদ লাভলু জানান, তবে আদালত থেকে এ মামলায় আসামিদের পক্ষে টেস্ট ডিফেন্স হিসেবে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে এবং মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা।
৪ অক্টোবর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো ওই নারীকে ভিডিওটি ভাইরারের পর উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারী বাদী হয়ে এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণ, নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করেন।
পিবিআই-এর জেলা কার্যালয় মামলা তিনটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
তিনটি মামলার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় দোলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আবুল কালামকে।
গ্রেপ্তারের পর তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।