কোম্পানীগঞ্জে আবার কাদের মির্জার হরতাল

এবার নোয়াখালীর ডিসি-এসপিকে প্রত্যাহারের দাবিতে হরতাল ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2021, 09:01 AM
Updated : 17 Feb 2021, 10:16 AM

বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতাল ডাকা ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার সামনে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান নেন কাদের মির্জা।

সে সময় তারা থানার সামনে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে থানায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আর বসুরহাট বাজারের সব প্রবেশপথও অবরোধ করে তারা।

সারা রাত থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতাল ও নতুন অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

কাদের মির্জা বলে, “পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ও কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আলম সব সময় একরামুল হক চৌধুরীর (সংসদ সদস্য) সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলেন। তারা নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তারা আমার সুরক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

“তাদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করা হবে। তাছাড়া শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।”

এ বিষয়ে ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, “আমার কিছু বলার নেই। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। আপাতত পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মিছিল করেন। খবর পেয়ে কাদের মির্জা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২৪ জুন কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হরতাল ডেকে প্রত্যাহার করেছিলেন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন।

একরাম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ (সরদর) আসনের সংসদ সদস্য।

একরাম বলেন, “উনি (কাদের মির্জা) মন্ত্রী-এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা- কাউকে বাদ দেননি। উনি কেন এসব বলছেন জানি না। এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার দলীয় ফোরামে বলব।”